Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োগ পাচ্ছে সাড়ে চার হাজার হিসাবরক্ষক
বিস্তারিত

# সরকারের খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা # ইউপি সচিবদের শতভাগ সরকারি বেতন # দফাদার ও গ্রামপুলিশের বেতন বাড়ছে

উবায়দুল্লাহ বাদল : ইউনিয়ন পরিষদকে (ইউপি) শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইউপির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাড়ে চার হাজার হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে শতভাগ বেতনের আওতায় আনা হচ্ছে ইউপি সচিবদের। পাশাপাশি গ্রামপুলিশদের বেতনভাতা দ্বিগুণ করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত ২৪ জুলাই এ বিষয়ে বর্তমানকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিব কে এম মোজাম্মেল হকও বর্তমানকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ সচিব: সারাদেশে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এসব ইউপির যাবতীয় কাজকর্ম দেখভাল করতে সরকারের পক্ষ থেকে তৃতীয় শ্রেণীর স্কেলের বেতন পাওয়া মাত্র একজন সচিব রয়েছেন। তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দেয়াসহ সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এসব সচিব ৫২০০ টাকা মূল বেতনে ৮৭০০ টাকা বেতন পাচ্ছেন। এ বেতনের ৭৫ শতাংশ সরকারের অনুদান ও ২৫ শতাংশ ইউপির তহবিল থেকে দেয়া হয়। এ জন্য সরকারের প্রতিবছর খরচ হচ্ছে ৬৪ কোটি টাকা। শতভাগ করা হলে সরকারকে বছরে অতিরিক্ত গুনতে হবে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা। চাকরি শেষে সচিবরা গ্র্যাচুরিটি হিসেবে সরকারি নিয়মে আনুতোষিক পান।

হিসাবরক্ষক: ইউপির বিদ্যমান আইনের ৬২(১) ধারায় বলা আছে, ইউপিতে একজন হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর থাকবেন, যারা সরকার বা সরকার কর্তৃক কোনো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিযুক্ত হবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। হিসাবরক্ষকের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সদ্যসমাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ডিসিরা বলেছেন, সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে ইউনিয়ন পরিষদকে বহুমাত্রিক কাজ করতে হয়। অথচ সাচিবিক কাজের জন্য মাত্র একজন সচিব রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হিসাব সহকারীর পদ সৃষ্টির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলে তাতে শর্তসাপেক্ষে সম্মতি দেয়। সহকারী হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার জন্য মূলবেতন ৫২০০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে সরকারের বছরে খরচ হবে প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। জনপ্রশাসনের সম্মতির পরিপ্রক্ষিতে অর্থ বিভাগের সম্মতি চেয়ে পত্র পাঠানো হলে তারা আরও তথ্য চেয়ে পাঠায়। ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের কর্মঅধিবেশন শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আশোক মাধব রায় এ বিষয়ে বর্তমানকে বলেন, আইন অনুযায়ী শিগগিরই প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

দফাদার ও মহল্লাদার: প্রত্যেকটি ইউপিতে একজন দফাদার ও নয়জন মহল্লাদার রয়েছে। বর্তমানে দফাদার ও মহল্লাদাররা (গ্রামপুলিশ) ইউপি থেকে যথাক্রমে দুই হাজার ১০০ ও এক হাজার ৯০০ টাকা পান। এর মধ্যে সরকার দেয় দফাদারদের এক হাজার ৩০০ এবং মহল্লাদারদের এক হাজার ১০০ টাকা। এ জন্য সরকারের বছরে ব্যয় ৬০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তারা চাকরি শেষে কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট গ্রামপুলিশের বেতনভাতা বাড়িয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সমান স্কেল করা সংক্রান্ত একটি সুপারিশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বিবেচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে দফাদারদের চার হাজার এবং মহল্লাদারদের সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনভাতার কথা বলা হয়। সে হিসেবে সরকারকে অতিরিক্ত গুনতে হবে ১৩১ কোটি ২২ লাখ টাকা। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বার বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আবারও তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

- See more at: http://dainikbartoman.com/index.php?page=details&nc=1&news_id=2473#sthash.uR9v9m2d.dpuf
ছবি
ডাউনলোড